স্টাফ রিপোর্টার ॥ শস্য ভান্ডার ক্ষেত হবিগঞ্জ জেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, আগাম প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকা এবং সময় সতর্কবার্তা কৃষকদের কাছে পৌছে যাওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন। এ বছর হবিগঞ্জে মোট ১ লক্ষ ২২ হাজার ১ শত ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে, তার মধ্যে হাওর অঞ্চলে ৪৫ লক্ষ ৬ হাজার ৯ শত ১৫ হেক্টর জমিতে এবং সমতলে ৭৫ হাজার ২শত ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৬ শত হেক্টর অনাবাদী জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। উৎপাদিত ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৭ শত ২০ মেট্রিক টন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী হাওর অঞ্চলে প্রায় ৯৮ শতাংশ ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলেছে, আর সমতলে থাকা প্রায় ৪৫ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, যদি আগামী এক সপ্তাহ বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক উদ্যোগ না হয় তাহলে সমতলের শতভাগ ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। করোনাকালীন সময়ে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকদের মাঝে এক অজানা শংকা ছিল, কিন্তু সকল শংকাকে দুর করে কৃষকরা ধান কাটে এবং কৃষি অধিদপ্তর থেকে দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য এবছর নতুন আরো ৭২টি হার্ভেস্টার নতুন মেশিন দেওয়া হয়েছে, গত বছরে ছিল ৫৬টি মেশিন, সব মিলিয়ে ১২৮ টি মেশিনের সাহায্যে এবছর হাওরে ধান কাটা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং কৃষকলীগ নেতাকর্মীরা মাঠে কৃষকদের সাথে ধান কাটায় সহায়তা করেছে। এদিকে জেলায় রিপার মেশিন নতুন করে আরো ৫২টি দেওয়া হয়েছে, গত বছর ছিল ১৯২টি। এদিকে বানিয়াচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হাওয়ার অঞ্চলে ৯৮ শতাংক এবং সমতলে ৫৮ শতাংক ধান কাটা শেষ হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তমিজ উদ্দিন খান বলেন, আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সব রকম তথ্য সময়মত দিয়েছে, ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত। যার কারণে কৃষকরা সময়মত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন। আশা করছি শতভাগ ধান কৃষকের গোলায় উঠবে। নষ্ট মেশিনের বিষয়ে তিনি বলেন, যেগুলো মেশিন নষ্ট আছে সেগুলোর বিষয়ে কোম্পানির সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি, তারা মেরামত করে দিবে বলে আমাদের জানিয়েছে।